ঢাকা ০৭:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যেকারণে যোগ্য পাত্র পাচ্ছেন না ব্রাজিলের তরুণীরা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৫৫:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ জুলাই ২০২২
  • ৯৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পেলে, রোমারিও, রোনালদিনহো, নেইমারের দেশ ব্রাজিল। দেশটিতে এমন একটি গ্রাম রয়েছে যেখানে পুরুষের তুলনায় নারীদের বসবাস বেশি। গ্রামটির নাম নোইভা ডো কোরডোইরো। এটি দক্ষিণ-পূর্ব ব্রাজিলের একটি পাহাড়ে অবস্থিত।

মূলত এটি একটি নারী প্রধান গ্রাম। নোইভা ডো কোরডোইরো গ্রামে প্রায় ৬০০ নারী বাস করেন। এদের মধ্যে তিনশোরও বেশি বিবাহযোগ্যা, অবিবাহিতা তরুণী। তাদের বয়স ১৮ থেকে ৩২ বছর। এরা সবাই বিয়ে করতে চান। তবে এজন্য পাত্রকে মানতে হবে কয়েকটি শর্ত। এই নারীরা বিয়ের পর নিজেদের গ্রাম ছেড়ে যাবেন না। স্বামীদের এই গ্রামেই বসবাস করতে হবে। যেসব ছেলে ভালো রান্না জানেন, বিয়ের পর বউকে রেঁধে খাওয়াতে পারবেন, ঘরবাড়ি পরিষ্কার রাখতে জানেন, তিনিই এই গ্রামের তরুণীদের কাছে খাঁটি ‘সুপাত্র’।

জানা যায়, ১৮৯০ সালে মারিয়া সেনহোরিনা ডি লিমা নামের এক তরুণীকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শ্বশুর বাড়িতে বেশি দিন থাকেননি তিনি। পালিয়ে চলে আসেন এই গ্রামে। তখন থেকে এই গ্রামটি তিনি নিজের মতো করে গড়ে তোলেন। আর সেই থেকেই এই গ্রামের মেয়েরা বিয়ের পরও এখানেই থেকে যান। প্রায় দেড়শো বছর পরও এই গ্রামের তরুণীরা নিয়মটি মেনে চলেন। তাই ভিন-গ্রামের সুপাত্র পাওয়াটা তাদের জন্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বয়স পেরিয়ে গেলেও অবিবাহিত থাকতে হচ্ছে গ্রামের তরুণীদের অনেককে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

যেকারণে যোগ্য পাত্র পাচ্ছেন না ব্রাজিলের তরুণীরা

আপডেট টাইম : ১০:৫৫:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ জুলাই ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পেলে, রোমারিও, রোনালদিনহো, নেইমারের দেশ ব্রাজিল। দেশটিতে এমন একটি গ্রাম রয়েছে যেখানে পুরুষের তুলনায় নারীদের বসবাস বেশি। গ্রামটির নাম নোইভা ডো কোরডোইরো। এটি দক্ষিণ-পূর্ব ব্রাজিলের একটি পাহাড়ে অবস্থিত।

মূলত এটি একটি নারী প্রধান গ্রাম। নোইভা ডো কোরডোইরো গ্রামে প্রায় ৬০০ নারী বাস করেন। এদের মধ্যে তিনশোরও বেশি বিবাহযোগ্যা, অবিবাহিতা তরুণী। তাদের বয়স ১৮ থেকে ৩২ বছর। এরা সবাই বিয়ে করতে চান। তবে এজন্য পাত্রকে মানতে হবে কয়েকটি শর্ত। এই নারীরা বিয়ের পর নিজেদের গ্রাম ছেড়ে যাবেন না। স্বামীদের এই গ্রামেই বসবাস করতে হবে। যেসব ছেলে ভালো রান্না জানেন, বিয়ের পর বউকে রেঁধে খাওয়াতে পারবেন, ঘরবাড়ি পরিষ্কার রাখতে জানেন, তিনিই এই গ্রামের তরুণীদের কাছে খাঁটি ‘সুপাত্র’।

জানা যায়, ১৮৯০ সালে মারিয়া সেনহোরিনা ডি লিমা নামের এক তরুণীকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শ্বশুর বাড়িতে বেশি দিন থাকেননি তিনি। পালিয়ে চলে আসেন এই গ্রামে। তখন থেকে এই গ্রামটি তিনি নিজের মতো করে গড়ে তোলেন। আর সেই থেকেই এই গ্রামের মেয়েরা বিয়ের পরও এখানেই থেকে যান। প্রায় দেড়শো বছর পরও এই গ্রামের তরুণীরা নিয়মটি মেনে চলেন। তাই ভিন-গ্রামের সুপাত্র পাওয়াটা তাদের জন্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বয়স পেরিয়ে গেলেও অবিবাহিত থাকতে হচ্ছে গ্রামের তরুণীদের অনেককে।